ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের চারটি ধারা (৪, ৫, ৬ ও ৯) কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর লোন মনিটরিং সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা খর্ব করা কেন অবৈধ নয়, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। 

মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

গত ১৮ জুলাই ঋণখেলাপিদের বড় ছাড় দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং শ্রেণিকৃত ঋণের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যুক্তি দেখিয়ে ঋণখেলাপিদের ওই ছাড় দেওয়া হয়। ফলে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে এখন আড়াই থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ অর্থ জমা দিলেই চলবে; আগে যা ছিল ১০ থেকে ৩০ শতাংশ। 

এমএইচডি/এনএফ