নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) মাওলানা মামুনুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।

আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত হয়ে  তিনি বলেন, নতুন করে আমাকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য জাতির সামনে একেক দিন একেকভাবে নাটক সাজানো হচ্ছে।

বর্তমানে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক ফাতিমা ইমরোজ ক্ষণিকার আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি মিরপুর মডেল থানার পীরেরবাগে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ওই থানার এএসআই খন্দকার রাজিব আহমেদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৩১ মার্চ মাওলানা মামুনুল হকসহ ৬৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম। 

২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেসময় পুলিশ জানিয়েছিল, তাকে মোহাম্মদপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।  

ওই বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে আটক করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী।

এনআর/আরএইচ