রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে দোকানের বৈধতা দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পেছাল। পরবর্তী তদন্ত প্রতিবেদন জমার দিন আগামী ২৯ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (৩ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম পরবর্তী প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী নাহিদ ইসলাম চৌধুরী ও মাকসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরকার, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন এবং ওয়ালিদ।

মামলায় বাদীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাঈদ খোকন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ও অন্যান্য আসামিরা মিলে দোকান বরাদ্দের নামে নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান বরাদ্দ দেন। কিন্তু বর্তমান মেয়র ক্ষমতায় এসে নকশাবহির্ভূত অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলেন। এতে অনেক দোকানমালিক কোটি কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হন। অনেক দোকানের মালিক গ্রাম থেকে জমিজমা বিক্রি করে দোকান বরাদ্দ নেন। বর্তমানে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। বাদী নিজেও ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।

গত ৮ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট এলাকার ৯১১ দোকানের বরাদ্দ অবৈধ জানিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এদিকে গত ২৬ ডিসেম্বর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেটে স্থায়ীভাবে বরাদ্দ চেয়ে দোকান মালিকরা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলন করেন।

টিএইচ/এইচকে