রাজধানীর ধানমন্ডিতে অন্তঃসত্ত্বা এক বিউটিশিয়ানকে পার্লার সেবার কথা বলে বাসায় ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়ামের (২৩) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী তাদের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর শুক্রাবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন : রাজধানীতে বিউটিশিয়ানকে গণধর্ষণে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র গ্রেপ্তার

ধর্ষণের শিকার তরুণী (২৫) পেশায় বিউটিশিয়ান। আগে বিউটিপার্লারে কাজের অভিজ্ঞতা থাকায় ভিকটিম করোনা-পরবর্তী সময়ে সেবা দিতে ফেসবুকে একটি পেজ খোলেন। তার কাছ থেকে আগে সেবা নেওয়া পরিচিত এবং অনলাইনে যোগাযোগ করা নারীরা তার প্রধান সেবাগ্রহীতা।

গত ১১ অক্টোবর বিকেলে ফোনে তেমনই একটি সেবা প্রদানের (ফেসিয়াল) অনুরোধ পান ভুক্তভোগী তরুণী। তাসলিমা নামের এক নারী ফোন করেছিলেন বলে ভিকটিম পুলিশকে জানান। ওই দিন ভিকটিম সাভার থেকে ফেসিয়াল সেবা দিতে শুক্রাবাদ এলাকায় আসেন।

পথে তাসলিমার ভাই পরিচয়ে গ্রেপ্তার রিয়াদ ফোনে বেশ কয়েকবার ফোনে তার সঙ্গে কথা বলেন। সন্ধ্যায় শুক্রাবাদ এলাকায় পৌঁছালে রিয়াদ ওই তরুণীকে তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।

কিছুক্ষণ পর সিয়াম ও জিতু নামে তার আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন রিয়াদ। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা একে একে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এরপর তারা ভিকটিমের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে পথে ছেড়ে দিয়ে চলে যান।

পরে ভিকটিমকে তার স্বামী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে প্রথমে বিষয়টি ধানমন্ডি থানাকে জানানো হয়। তবে ঘটনাস্থল তাদের আওতাধীন না হওয়ায় বিষয়টি শেরেবাংলা নগর থানাকে বুঝিয়ে দেয় ধানমন্ডি থানা। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এনআর/এসএসএইচ