২৩ বছর আগে গাজীপুরে করিমন নেছা নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়াকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান চৌধুরী পরাগ, অ্যাডভোকেট এসএম আলীম ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।

মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, করিমন নেছার সঙ্গে একই এলাকার চাঁন মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের পর গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাঁনপাড়া এলাকার আবুল কালাম ওরফে কালু মিয়ার সঙ্গে করিমন নেছার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে কালু মিয়ার চাপে করিমন নেছা ও তার স্বামী চান মিয়া পরস্পরকে তালাক দেন। এরপর থেকে ভাই সফিজ উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করতেন করিমন।

১৯৯৯ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বোন রহিমন নেছার বাড়ি থেকে ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হন করিমন। ২৫ জানুয়ারি দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে কচুরিপানার নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরে কালু মিয়াসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ভাই সফিজ উদ্দিন। পুলিশ কালু মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২১ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া কালু মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পাশাপাশি মামলার অন্য আসামি- নাজিম উদ্দিন, জালাল উদ্দিন এবং ফজলুল হককে খালাস দেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। এসময় আসামি এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আজ আদালত এই রায় দেন।

এমএইচডি/এমএইচএস