ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার জবি শিক্ষার্থী কারাগারে
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের পলিটিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
শনিবার রাতে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর নিউ মার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক খাইরুল ইসলাম বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১/৩৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কোবরা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ারকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা অবনতির ঘটানোর জন্য আক্রমণাত্মক ও মানহানিকর তথ্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার ও প্রচারে সহায়তা করার অপরাধের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ৭ জুলাই সাইবার ট্রাইব্যুনাল এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার (অব.) তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ব্যক্তিগত ফেইসবুক পেজগুলোতে ভিডিও আপলোড করে বাংলাদেশে চলমান স্থিতিশীল পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
মিথ্যা তথ্যপূর্ণ আলোচনা ইউটিউব, ফেইসবুকে প্রচার করে তারা বাংলাদেশের সাধারণ জনগণকে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে দেশ ও সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত করার চেষ্টা করেন।
তারা মনগড়া মিথ্যা তথ্য ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সরকারবিরোধী মনোভাব তৈরি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন।
তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈধ সরকারের পতনের উদ্দেশ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মনগড়া, বানোয়াট, মিথ্যা মানহানিকর অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন।
তারা এমন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, বিদ্বেষ, ঘৃণা সৃষ্টির অপচেষ্টাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর দেলোয়ার (অব.) তাদের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবের সহায়তায় অনলাইনে এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরএইচ