প্রশ্নপত্র ফাঁস : সাবেক কলেজ অধ্যক্ষসহ ৬ জন রিমান্ডে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নার্সিং কলেজগুলোর বিএসসি ইন নার্সিং (পোস্ট বেসিক) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় নার্সিং কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিজ্ঞাপন
রিমান্ড নেওয়া আসামিরা হলেন- ফরিদা খাতুন, মনোয়ারা খাতুন, নার্গিস পারভীন, কোহিনুর বেগম, মো. ইসমাইল হোসেন ও মো. আরিফুল ইসলাম।
এদিন ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিরুদ্ধে তিন দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বিন কাশেম। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের মধ্যে আরিফুল ইসলামের দু’দিন এবং অপর ৫ আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (২১ আগস্ট) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মহাখালী, ধানমন্ডি ও আজিমপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় ফাঁস করা প্রশ্নপত্রের কপি এবং ৯টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯৮টি নার্সিং কলেজের মধ্যে বর্তমানে ৩৮টি কলেজে পরীক্ষা চলছে। প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা বজায় রাখতে প্রথমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দু’জন প্রশ্ন প্রণয়নকারী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা দু’সেট আলাদা প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। প্রশ্নপত্রগুলো যাচাই করার জন্য একটি মডারেটর টিম নিয়োগ করা হয়। তাদের কাজ হচ্ছে প্রশ্নপত্রগুলো থেকে পরীক্ষার জন্য এক সেট পরিপূর্ণ প্রশ্নপত্র তৈরি করে সেগুলো সিলগালা করে চিকিৎসা অনুষদের ডিনের কাছে জমা দেওয়া।
পরে চিকিৎসা অনুষদের ডিন বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের জন্য চার সদস্যদের একটি গোপনীয় টিম নিয়োগ করে থাকেন, যারা নির্বাচিত প্রশ্নপত্রটি প্রিন্টিং এবং প্যাকিংয়ে নিযুক্ত থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের চাহিদা অনুযায়ী প্রশ্নপত্রগুলো প্রিন্ট করে আলাদা আলাদা প্যাকিং করে তার ওপরে কেন্দ্রের নাম লিখে সিলগালা করে দেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রশ্নপত্রগুলো বিভিন্ন কেন্দ্রে বিতরণ করে।
জেডএস