বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া

সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট  এম মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।

সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বরখাস্তকৃত পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূঁইয়া হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

গত ১৮ এপ্রিল সিলেটে পুলিশের হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিমের আদালতে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু করেন।

রায়হান হত্যা মামলার অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য ও এক পলাতক আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর মধ্য রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে রায়হান আহমদকে নির্যাতন করা হয়। ১১ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রীর করা মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে নিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের সত্যতা পায়।

ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজত থেকে কনস্টেবল হারুনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রধান অভিযুক্ত আকবরকে গত বছরের ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। অন্য অভিযুক্তরা হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির টুআইসি পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)। অভিযোগপত্রভুক্ত ছয় আসামির মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাবন্দী। আসামি আবদুল্লাহ আল নোমান পলাতক।

এমএইচডি/এসকেডি