গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের কাছে রাজস্ব বোর্ডের ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা কর দাবির সিদ্ধান্ত বহাল রেখে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের আদেশের ওপর স্থিতিবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. কামালের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার রমজান আলী শিকদার, ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার তানিম হোসাইন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

এর আগে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে রাজস্ব বোর্ডে কয়েক দফায় প্রায় ৯৩ লাখ টাকা জমা দেন গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন। হাইকোর্ট তাকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দাবি করা ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্সের মধ্যে ১০ শতাংশ পরিশোধ করতে বলেছিলেন। 

গত ১৪ জুন কর ফাঁকির বিষয়ে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে গণফোরামের সভাপতি ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনের দায়ের করা রিট কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

হাইকোর্টে দায়ের করা রিটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫১ টাকা ট্যাক্স দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত স্থগিত চান ড. কামাল হোসেন। 

জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ড. কামাল হোসেন ১ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৪৯৫ টাকা আয় দেখিয়ে রিটার্ন দাখিল করেন। কিন্তু জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০ কোটি ১১ লাখ ৪ হাজার ২১৯ টাকার সম্পদ দেখিয়ে ৬ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৩১৫ টাকা ট্যাক্স এবং সুদ ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬৩৪ টাকা দাবি করে।

রাজস্ব বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলেট ট্রাইব্যুনালের আবেদন করেন ড. কামাল হোসেন। আপিলেট ট্রাইব্যুনাল তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি।

এমএইচডি/এসকেডি