সারা দেশে মোবাইল কোর্ট কর্তৃক জরিমানার অর্থ সঠিকভাবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

৬৮ জেলার ডিসিকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।  

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।  এসময় ৭৫৪টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল। এসব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মোট ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা আদায় হয়েছিল। এই টাকাটা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়নি। ৫৪টি জাল চালান তৈরি করে এই টাকা আত্মসাত করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ অফিসার ইমাম উদ্দিন। তদন্তে বিষয়টা ধরা পড়ার পর কিছু টাকা পরবর্তীতে জমা দিয়েছে এবং স্বীকার করেছে এই টাকাটা সে আত্মসাত করেছে। এতে সহযোগী ছিল তার স্ত্রী বেঞ্চ সহকারী কমলা আক্তার। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করে। আদালতে প্রমাণ হওয়ার পর তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। এই শাস্তির বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন।

সেই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ইমাম উদ্দিনের ২৩ বছরের সাজা বহাল রেখেছেন। আদালত সহযোগী আসামি কমলা আক্তারকে খালাস দিয়েছেন।

 ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, সারাদেশে যে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়, সেখানে যে অর্থ আদায় করা হয়, সেই টাকাটা সঠিকভাবে জমা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন হাইকোর্ট। প্রত্যেক জেলা প্রশাসক ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে নজর রাখতে বলেছেন। মোবাইল কোর্টে জরিমানার অর্থ সত্যিকার অর্থে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কি না তা দেখা তাদের দায়িত্ব। এটা অবশ্যই দেখতে হবে।

এমএইচডি/এনএফ