তারেক-জোবায়দার মামলা বাতিলে পেছাল রুল শুনানি
২০০৭ সালে জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের রিট মামলার রুল শুনানির দিন পিছিয়ে আগামী ২৯ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
তারেক-জোবায়দার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।
বিজ্ঞাপন
আদালতে তারেক-জোবায়দার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গতকাল ১৫ বছর পর ২০০৭ সালে জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পুত্র তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমানের রিট মামলার রুল শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়।
মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।
এরপর রিট মামলাগুলো মঙ্গলবার কার্যতালিকায় আসে। এরপর রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
এদিকে একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই সময় ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। যা গত ১৩ এপ্রিল খারিজ করেন আপিল বিভাগ।
এমএইচডি/আইএসএইচ