ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় পক্ষভূক্ত হতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের আবেদন গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।আদালত আদেশে বলেছেন, এখন থেকে এই রিট মামলায় শামীমা নাসরিন ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন।

সদ্য কারামুক্ত শামীমা নাসরিনের আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে শামীমা নাসরিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম মেহেদী। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় পক্ষভূক্ত আবেদন করেন সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন কোম্পানিতে যে ৫০ শতাংশ শেয়ার ছিল তার মধ্যে ২০ শতাংশ শেয়ার এরইমধ্যে তিনি তার মা এবং বোনের স্বামীর নামে হস্তান্তর করেছেন। যখন এই মামলা দায়ের করা হয় তখন এই মামলার বিবাদী হিসেবে তিনি ছিলেন না। তিনি আজকের আবেদনে বলেছেন, তাকে যেন এই মামলা বিবাদী হিসেবে গণ্য করা হয়। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত এই মর্মে আদেশ দেন এখন থেকে শামীমা নাসরিন এই মামলায় ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে গণ্য হবেন।

এছাড়া ইভ্যালির সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাসেল আরেকটি আবেদন দায়ের করে বলেন, তার যত শেয়ার আছে তার মধ্যে ২ লাখ শেয়ার শ্বশুর বরাবর হস্তান্তর করতে চান। কিন্তু হস্তান্তর প্রক্রিয়াটা সম্পন্ন করতে কোম্পানি আইনের প্রভিশন হচ্ছে ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। কিন্তু মো. রাসেল এখন কারাগারে আছেন। সেহেতু তার পক্ষে সশরীরে আসা সম্ভব নয়। এই আবেদনের বিষয়ে আদালত কোনো আদেশ দেননি।

এর আগে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ইভ্যালি পরিচালনার জন্য আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বোর্ড গঠন করেন।

বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

এমএইচডি/জেডএস