মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের খলিলুর রহমানসহ তিন জনকে যাবজ্জীবন (আমৃত্যু), পাঁচজনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া রায়ে এক জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

রায়ে যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- আবুল কালাম, ফয়েজ উল্লাহ ও আ. রাজ্জাক। ২০ বছরের দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- খলিলুর রহমান, আবদুল্লাহ, রইস উদ্দিন, আলিম উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম। অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়া একমাত্র আসামি হলেন আবদুল লতিফ।  

এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ২২২ পৃষ্ঠার এ রায় পড়া শুরু হয়। রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান, রেজিয়া সুলতানা চমন এবং আসামিপক্ষে আছেন আব্দুস শুকুর খান ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। 

গত ৯ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের খলিলুর রহমানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় ১১ জন আসামি ছিলেন। বিচার চলার সময়ে দুই জন মারা যান। ২০১৮ সালের ৪ মার্চ চারটি অভিযোগে ময়মনসিংহের ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া গ্রেপ্তার আছেন- ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাধুয়া গ্রামের খলিলুর রহমান মীর (৬২), একই গ্রামের মো. সামসুজ্জামান ওরফে আবুল কালাম (৬৫), একই গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ (৬২), মো. রইছ উদ্দিন আজাদী ওরফে আক্কেল আলী (৭৪)। আসামি আব্দুল লতিফ স্বেচ্ছায় ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। বিচার চলার সময়ে আব্দুল মালেক আকন্দ ওরফে আবুল হোসেন ওরফে আবুল মেম্বার (৬৮) ও নুরুল আমীন শাজাহান মারা যান। এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন- এএফএম ফয়েজ উল্লাহ, আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম, আলীম উদ্দিন খান। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের চারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৪ জনকে হত্যা, ৯ জনকে আটক ও নির্যাতনের অভিযোগ। 

এমএইচডি/জেডএস