অ্যাফেলিয়েট মার্কেটার হতে চান?
অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এখন অনেকেই আয়-রোজগার করছেন। পণ্যের প্রচার-প্রসারের মধ্য দিয়ে সহজেই আয় করার এই পথ তরুণদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, কী প্রক্রিয়ায় এই মার্কেটিং শুরু করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং কী?
বিজ্ঞাপন
প্রথমে জেনে রাখা দরকার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের শাব্দিক অর্থ সম্পর্কে। অ্যাফেলিয়েট শব্দের অর্থ হলো শাখা বা বিভাগ। আর মার্কেটিং শব্দের অর্থ বিপণন। এই দুই শব্দকে একত্রিত করলে অর্থ হয়- পণ্যের প্রচার-প্রসারের জন্য যে বিভাগ কাজ করে।
প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই এখন এই বিভাগের কর্মী রয়েছেন। ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে পণ্যের প্রচার করাকে অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। যিনি এই কাজ করেন তাকে বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার।
কীভাবে কাজ করতে হয়?
প্রতিটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেই অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিংয়ের শাখা থাকে। প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ অ্যাফেলিয়েট মার্কেটারকে পণ্যের প্রচারের বিনিময়ে নির্ধারিত কমিশন দেয়। এটিই তার আয়। সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে মার্কেটার পণ্যের প্রচার ও প্রসার করেন।
ফেসবুক, টুইটার, মাইস্পেস, পিন্টারেস্ট, লিংকডইনসহ একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করা যায়। বিশেষ করে আধুনিক সময়ে ফেসবুকের মাধ্যমে এই কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠছে। এতে ক্যারিয়ার তৈরি হলে অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল আয় করা যায়।
কত টাকা আয় করা যায়?
প্রশ্ন উঠতেই পারে, অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিংয়ে কত টাকা আয় করা যায়? উত্তর হলো- এই পেশায় ইচ্ছেমতো আয়ের সুযোগ রয়েছে।
অনলাইনে শুধু পণ্যের প্রচার-প্রসার করেই আপনি বিপুল অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তার জন্য প্রয়োজন আগ্রহ, সময় ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান। ডিজিটাল বা সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন পণ্যের আকর্ষণীয় ছবি ও ক্যাপশন দিতে হবে। এর মাধ্যমে অনেকে পণ্যটি সম্পর্কে আগ্রহ প্রকাশ করেন, মূল্য জানতে চান। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এভাবে এই পেশায় কয়েক ডলার থেকে লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
সফল হতে কী করবেন?
রাতারাতি সফল হওয়ার চিন্তা করা বোকামী। বিশেষ করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে। এর জন্য দরকার ইচ্ছা ও পরিশ্রম। যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তারা এখনই নেমে পড়ুন, কাজ শুরু করুন-
১. কোন প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে চান সেটি বেছে নিন।
২. আপনার অবস্থান কী হবে সেটি বিবেচনা করুন।
৩. কোনো অ্যাফেলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন। এতে আপনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বা কর্মশালায় অংশ নিতে পারবেন।
৪. ভালো ভালো কনটেন্ট তৈরি করা শিখুন।
৫. আপনার অ্যাফিলিয়েট সাইটের ট্র্যাফিক বাড়ান।
৬. আপনার সাইটের ক্লিক নিশ্চিত করুন।
৭. আয়ের পথ বড় করুন।