প্রতীকী ছবি

সাধারণত নতুন চাকরি খোঁজা ও চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দেওয়া বেশ কঠিন কাজ। অনেকেই চাকরির ভাইভার জন্য ডাক পেয়ে নার্ভাস হয়ে যান। কীভাবে কথা বলবেন, কী বলবেন, কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবেন- এসব ভেবে ভেবেই হয়রান হোন অনেকে।

তবে সব প্রার্থীরাই চান ইন্টারভিউ বোর্ডে নিজের সেরা কাজটিই করতে। একাডেমিক জীবনে, প্রফেশনাল জীবনে যতটুকু জেনেছেন তার আলোকেই কথা বলতে চান প্রার্থীরা। সঙ্গে মানানসই আউটফিট তো থাকেই। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই দেখা যায়, প্রার্থীরা চাকরির জন্য ভাইভা দিতে এলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে চা-কফির অফার করে। 

আরও পড়ুন> কাজে যোগ দিলেই ৫৭ হাজার বোনাস, তবুও মিলছে না কর্মী

প্রার্থীরাও এ অভ্যর্থনা সাদোরে গ্রহণ করেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই কফি পানের বিষয়টিকে রীতিমত পরীক্ষার পর্যায় নিয়ে গেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এ কথা বলেছেন। এই পদ্ধতিকে তারা নাম দিয়েছেন ‘কফি টেস্ট’।

দ্য ভেঞ্চারস নামের এক পডকাস্ট অনুষ্ঠানে এক্সিও অস্ট্রেলিয়ার এমডি ট্রেরেন্ট ইনস বলেন, আমরা প্রার্থী বাছাইয়ে কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বণ করছি। আমাদের প্রতিষ্ঠানে যারাই ভাইভা দিতে আসেন, প্রথমেই তাকে রান্না ঘরে নিয়ে কফি খাওয়ার প্রস্তব দেওয়া হয়। সে এটি গ্রহণ করলে কফি খেতে খেতেই চলে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বার্তা।

আরও পড়ুন> কাজ দাঁড়িয়ে থাকা, মাসে আয় সাড়ে ৫ লাখ

তিনি বলেন, আমরা এতো কিছুর মধ্যে একটি বিষয় দেখা চেষ্টা করি, প্রার্থী কফি খাওয়া শেষে কাপটি যথাস্থানে রাখলো কিনা। কিংবা সে কাপটি পরিস্কার করার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ বা পরিস্কার করতে গেলো কিনা। কেনো না আমরা চাই আমাদের কর্মীদের মধ্যে ছোট ছোট সংবেদনশীলতা থাকুক। যাতে তারা কোম্পানিকে নিজের মনে করে আগলে রাখবে।

ট্রেরেন্ট ইনস ওই পডকাস্ট অনুষ্ঠানে আরও বলেন, আপনি চাইলেই দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, জ্ঞানও বাড়াতে পারেন। তবে এগুলোর পেছনে আপনার একটি ইচ্ছা ও ইতিবাচক মনোভাব থাকা প্রয়োজন। আমরা এসব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থীর ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে কিনা সেটিই খুঁজে বের করার চেস্টা করছি।

এনডিটিভি/আরআর