প্রতিযোগিতার বাজারে ঠিকঠাক বায়োডাটা তৈরি করা চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সেই কারণেই বর্তমানে এমন একাধিক সংস্থার দেখা মেলে, যারা পেশাদারিভাবে বায়োডাটা তৈরি করে দেয় বা কীভাবে তৈরি করা হবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

ধনকুবের ও মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও এক সময় নবীন চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। তিনিও চাকরিজীবনে প্রবেশের জন্য বায়োডাটা তৈরি করেছিলেন। কেমন ছিল সেই বায়োডাটা?

তা প্রকাশ্যে আনলেন বিল নিজেই, যা ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বস্তুত নিজের বায়োডাটা প্রকাশ্যে এনে এ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে খানিক পরামর্শও দিলেন।

Caption

 

আরও পড়ুন >> মেলিন্ডাকে আবারও বিয়ের ব্যাপারে যা বললেন বিল গেটস

নিজের গুণাবলীর নমুনাসহ যথাযথ বায়োডাটা তৈরি করা সহজ কথা না। অনেকেই সেই কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খান। তাদের পাশে দাঁড়াতে নিজের ৪৮ বছর আগের বায়োডাটা প্রকাশ্যে আনলেন বিল। গত ১ জুলাই লিঙ্কডিন অ্যাকাউন্টে পাঁচ দশকের পুরনো বায়োডাটার ছবি শেয়ার করেন তিনি।

ওই বায়োডাটায় নিজের গুণাবলী ও কর্মদক্ষতার কথা জানিয়েছিলেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। যেমন, সেখানে জানানো হয়েছে- অপারেটিং সিস্টেমস স্ট্রাকচার, ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটার গ্রাফিকসহ একাধিক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।

আরও পড়ুন >> স্মার্টফোনের বিকল্প আসছে, জানালেন বিল গেটস

এই বায়োডাটা যখন তৈরি করেন বিল গেটস, তখন তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। নিজের বায়োডাটার ছবির সঙ্গে বিল লিঙ্কডিনে লেখেন, সম্প্রতি তোমরা স্নাতক হয়েছ বা কলেজ পাস করে বেরিয়েছ। আমি নিশ্চিত, তোমাদের বায়োডাটা আমার ৪৮ বছরের পুরনো বায়োডাটার থেকে দেখতে ভাল।

বিল গেটসের বায়োডাটা জনসমক্ষে আনায় তরুণ নেটিজেনদের অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে। কমেন্টবক্স উপচে পড়ে বিভিন্ন মন্তব্যে।

একজন লেখেন, এটা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বিল। হৃদয় ছুঁয়ে গেল। কৌতূহল ছিল আপনার বায়োডাটা কেমন ছিল। শেষ পর্যন্ত তা দেখার সৌভাগ্য হল আমাদের।

ওএফ