সোমালিয়ায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত অন্তত ১৩
পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় একটি শহরে আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ২০ জন। শনিবার সোমালিয়ার বেলেদওয়েনে আত্মঘাতী হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, বেলেদওয়েনের একটি রেস্তোরাঁয় আত্মঘাতী এক বোমা হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ওই রেস্তোরাঁয় স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকরা ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
অনলাইনে জঙ্গি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা সাইট ইনটেলিজেন্স বলেছে, সোমালিয়ার বেলেদওয়েনে শহরে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-শাবাব।
কট্টরপন্থী ইসলামি এই গোষ্ঠী প্রায়ই সোমালিয়ার সরকারি স্থাপনা এবং বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। দেশটিতে গত দুই সপ্তাহে অন্তত দু’বার হামলা চালিয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় সোমালিয়ার জাতীয় টেলিভিশন বলছে, বেলেদওয়েনে হামলায় আরও ১৮জন আহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, সকালের দিকের ওই হামলায় আহতদের সরিয়ে নেওয়ার কাজে সহায়তা করেছেন তিনি। স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেছেন, আমি সৈন্য, বেসামরিক নাগরিকসহ সাতজনকে মৃত হিসেবে গণনা করেছি। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১০ জনের বেশি।
রেস্তোরাঁয় আত্মঘাতী বোমা হামলার কারণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ এবং স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তবে হামলায় হতাহতের পরিসংখ্যান জানাতে পারেননি তারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, দেশটির চলমান সংসদ নির্বাচনে বেলেদওয়েন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এক প্রার্থীও হামলায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন।
গত ১ নভেম্বর দেশটির সংসদ নির্বাচন শুরু হয়েছে। কয়েক ধাপে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচন গত ২৪ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কারণে পিছিয়ে দেওয়ায় সেই নির্বাচন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।
জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার অনুসারী স্থানীয় আল-শাবাব গোষ্ঠী সোমালিয়ার ক্ষমতাসীন সরকারকে হটিয়ে কট্টর ইসলামি শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গত কয়েক বছর ধরে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস