মধ্য-আফ্রিকার দেশ ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় শিবিরে মিলিশিয়া গোষ্ঠীর হামলায় কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার স্থানীয় সময় ভোরের দিকে এই হামলা হয়েছে বলে স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার প্রধান এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে ওই দু’টি সূত্র বলেছে, বুধবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় ইতুরি প্রদেশের স্যাভো আশ্রয় শিবিরে হামলা হয়েছে। শিবিরে হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় কোডেকো মিলিশিয়া গোষ্ঠী দায়ী বলে জানিয়েছে সূত্র দু’টি। 

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে কোডেকো যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে দেশটির শত শত বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে। স্থানীয় এই মিলিশিয়া গোষ্ঠীর হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।

শিবিরের বাসিন্দা লোকানা ব্যালে লুসসা বলেন, ‘আমি বিছানায় থাকাকালীন প্রথমে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছি। তারপর কয়েক মিনিট ধরে গোলাগুলি হয়েছে। আমি পালিয়েছি। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। লোকজন সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করেছে। পরে আমি বুঝতে পারি যে, কোডেকো মিলিশিয়ারা আমাদের এলাকায় হামলা চালিয়েছে।’

তিনি বলেন, আমরা ৬০ জনেরও বেশি মৃত এবং (আরও) গুরুতর আহতদের হিসেব করেছি। বাহেমা-নর্থ এলাকার স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার প্রেসিডেন্ট চ্যারিতে ব্যানজা বাভি বলেছেন, ‘মিলিশিয়াদের হামলায় মোট ৬৩ জন নিহত হয়েছেন।’

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত স্যাভোর বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৪ হাজার মানুষের আবাস ছিল বলে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে। কোডেকোর যোদ্ধারা মূলত দেশটির স্থানীয় লেনদু চাষি সম্প্রদায়ের সদস্য; যারা দীর্ঘদিন ধরে হেমা পশুপালকদের সাথে বিরোধে লিপ্ত রয়েছে।

তবে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কঙ্গোর সরকারের একজন মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এসএস