প্রতীকী চিত্র

পুরোনো শত্রুতার জেরে ভারতের রাজস্থানে দলিত সম্প্রদায়ের ২৫ বছরের এক যুবককে অপহরণের পর মারধর করে মূত্রপানে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে। রাজস্থানের চুরু জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে রোববার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দলিত ওই যুবককে মারধরের পর মূত্রপান করানোর অভিযোগ উঠেছে সেখানকার আট ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে দু’জনকে আটক করেছে রাজস্থান পুলিশ।

ভুক্তভোগী রাকেশ মেঘওয়াল নামের ওই যুবক চুরু জেলার রুখাসার গ্রামের বাসিন্দা। নিপীড়নের শিকার হওয়ার পর রাজস্থানের রতনগর পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা অভিযোগে তিনি বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যান অভিযুক্তরা। গাড়িতে করে তাকে একটি মাঠে নেওয়া হয়।

পরে অভিযুক্তদের সবাই একটি বোতলে প্রস্রাব করেন এবং সেই বোতলের প্রস্রাব তার মুখে ঢেলে দিয়ে পান করতে বাধ্য করা হয়। এ সময় তাকে বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি বর্ণবাদী গালি দেওয়া হয়। দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তারা রাকেশকে তুলে এনেছেন বলে সেই সময় চিৎকার করে জানান। অভিযুক্তরা রুখাসা গ্রামের প্রভাবশালী সম্প্রদায়ের সদস্য।

পুলিশ বলছে, মেঘওয়ালের শরীরে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন।

রতনগর পুলিশ স্টেশনের তদন্ত কর্মকর্তা হিমাংশু শর্মা বলেছেন, রাকেশকে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগীকে মূত্রপানে বাধ্য করা হয়েছিল কি-না সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেছেন, উমেশ এবং বীরবল নামের দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় অভিযুক্ত অক্ষয়, রাজেশ, রাকেশ, তারাচাঁদ, বিদাদিচাঁদ এবং দীনেশ পলাতক আছেন।

মেঘওয়াল বলছেন, হলির সময় তিনি স্থানীয় বাদ্যযন্ত্র ‘চ্যাং’ বাজাচ্ছিলেন। এ সময় অভিযুক্তরা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাজে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তাকে তুলে নিয়ে মারধরের পর মূত্রপানে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলিত এই যুবক।

সূত্র: এনডিটিভি।

এসএস