শান্তিরক্ষা মিশন থেকে র্যাবকে বাদ দিতে জাতিসংঘে চিঠি
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দিতে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ওই ১২ মানবাধিকার সংস্থা গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যঁ-পিয়েরে ল্যাক্রয়িক্সকে এই চিঠি দেয়। আজ (২০ জানুয়ারি) হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে এই চিঠির কথা প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘে চিঠি পাঠানো ওই ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা হলো- অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলানটারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (এএফএডি), এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশন (এএনএফআরইএল), ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস, দ্য অ্যাডভোকেটস ফর হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দুই মাসেরও বেশি সময় আগে গত বছরের ৮ নভেম্বর ১২টি মানবাধিকার সংস্থা স্বাক্ষরিত এই চিঠিটি গোপনে জাতিসংঘে পাঠানো হয়। তবে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন সংশ্লিষ্ট দফতর এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব দেয়নি।
এর আগে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।
নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ সেসময় জানায়, র্যাব আইনের শাসন ও মানবাধিকার খর্ব করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থ এতে হুমকির মুখে পড়েছে।
পরে জানুয়ারি মাসের শুরুতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক জবাব পাঠায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পক্ষ থেকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের কাছে পাঠানো চিঠিতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ আন্তঃরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়।
চিঠিতে এসব উদ্যোগে র্যাবসহ বাংলাদেশের অন্য বাহিনীগুলোর অবদানের কথা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়।
টিএম/জেএস