রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে ‘হামলা’ চালাতে পারেন বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে তার ধারণা, রুশ প্রেসিডেন্ট হয়তো সেখানে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ পথে হাঁটবেন না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম বর্ষপূর্তিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) জো বাইডেন এমন মন্তব্য করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশি দেশ রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যমান উত্তেজনার মধ্যেই বুধবার বাইডেন সাংবাদিকদের সামনে এই মন্তব্য করেন। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই বলে আসছে মস্কো।

বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের হুমকি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জো বাইডেন বলেন, ‘আমার ধারণা, তিনি (ভ্লাদিমির পুতিন) ইউক্রেনে হামলা চালাবেন। তাকে সেখানে কিছু করতে হবে।’

তবে নিজের এমন ধারণা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়াকে সতর্কও করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেন বলেন, পশ্চিমাদের পরীক্ষা নিলে রাশিয়ার নেতাকে ‘মারাত্মক মূল্য দিতে’ হবে।

ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘ইউক্রেনে আক্রমণের পরিণামে রাশিয়ার ওপর এমন অবরোধ দেওয়া হবে যা পুতিন ভাবতেও পারবেন না। তবে শাস্তির মাত্রা নির্ভর করবে হামলার ধরনের ওপর।’

অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কয়েকজন সাংবাদিক প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, তার (বাইডেনের) কথায় মনে হচ্ছে ইউক্রেনে ছোট মাত্রার হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র তা মেনে নেবে কি না। পরে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করতে হোয়াইট হাউসের পক্ষ এক থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে দেওয়া ওই বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, ‘রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যদি ইউক্রেনের সীমান্তের দিকে এগোয়, তাহলে সেটি হামলা বলেই বিবেচিত হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের পক্ষ থেকে কঠোর এবং ঐক্যবদ্ধ জবাব দেওয়া হবে।’

রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করতে চায়- যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিকে নাকচ করে মস্কো বরাবরই বলে আসছে, ইউক্রেনকে আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। একইসঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলছেন যে, তারা নিজেদের ভূখণ্ডের যেকোনো জায়গায় সেনা মোতায়েনের অধিকার রাখেন।

এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার জন্য মূলত সামরিক জোট ন্যাটোকেই দোষারোপ করছে মস্কো।

টিএম