রশেল ওয়ালেনস্কি, ছবি: এবিসি নিউজ

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের প্রকোপে কাঁপছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ, মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার।

তবে দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ, গবেষণা ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, ওমক্রিনের প্রভাবে দেশে সংক্রমণে উল্লম্ফন ঘটলেও করোনায় সাম্প্রতিক মৃত্যুহার বৃদ্ধির জন্য মূলত দায়ী ভাইরাসটির অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টা।

দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৬৬ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৭ জনের।

তার আগের সপ্তাহে দেশটিতে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ৪৩২ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮০৭ জন।

শতকরা হিসেবে দেখা গেছে মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যুহার বেড়েছে ৪০ শতাংশ। গত ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যাচ্ছেন করোনায়।

বৃহস্পতিবার সিডিসির পরিচালক রশেল ওয়ালেনস্কি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বলেন, ‘ওমিক্রনে আক্রান্তদের কয়েকজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন-  এটি সত্য, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশে যে উচ্চ মৃত্যুহার দেখা যাচ্ছে, তার জন্য দায়ী ডেল্টা।’

তবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সংখ্যা যে ওমিক্রনের কারণে বাড়ছে, সংবাদ সম্মেলনে তা স্বীকার করেছেন সিডিসির পরিচালক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যারা করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের ৯০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত।’

সিডিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় দেড় লাখ করোনা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার রোগী হার বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। মহামারিতে ছারখার হয়ে যাওয়া এই দেশটিতে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪০৯ জন এবং এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯১ জনের।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ