করোনা: সিঙ্গাপুরে মৃতদের ৩০ শতাংশই নিয়েছিলেন টিকার ২ ডোজ
২০২১ সালে সিঙ্গাপুরে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের ৩০ শতাংশই টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছিলেন। সোমবার পার্লামেন্টে বক্তব্য প্রদানের সময়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অং ইয়ে কুং।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত বছর সিঙ্গাপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮০২ জন। তাদের মধ্যে ২৪৭ জনই টিকার দুই ডোজ নিয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
মহামারি নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের অন্যতম সফল দেশ সিঙ্গাপুর। গত বছরের প্রথম থেকেই দেশটিতে শুরু হয়েছে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচি। কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হয়েছে চীনের করোনা টিকা সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম, ফাইজার-বায়োএনটেক ও মডার্নার করোনা টিকা।
টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পরও যাদের করোনায় মৃত্যু হয়েছে, তাদের অধিকাংশই চিনের সিনোভ্যাক টিকা নিয়েছিলেন- উল্লেখ করে অং ইয়ে কুং বলেন, ‘দেশে সিনোভ্যাকের ২ ডোজ নিয়েছিলেন- এমন প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে গত বছর মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।’
‘এছাড়া সিনেফার্মের ২ ডোজ নেওয়া প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে গত বছর মারা গেছেন্ ৭ দশমিক ৮ জন, ফাইজার-বায়োএনটেকের ২ ডোজ নেওয়া প্রতি ১ লাখের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ দশমিক ২ জনের এবং মডার্নার ২ ডোজ নেওয়া প্রতি ১ লাখের মধ্যে মারা গেছেন ১ জন।’
বাদবাকি ৫৫৫ জন টিকার ২ ডোজ সম্পূর্ণ করেননি- উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিসংখ্যানটি খুব বিস্তারিত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি। কারণ, যারা টিকার ২ ডোজ সম্পূর্ণ করার পরও মারা গেছেন, তারা কবে নাগাদ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন এবং তাদের বয়স কত ছিল- ইত্যাদি বিষয়গুলো এই পরিসংখ্যানে অনুপস্থিত।’
তবে ২০২১ সালে বছরজুড়ে যত মৃত্যু হয়েছে, তার ৭০ শতাংশই করোনাজনিত করাণে হয়েছে বলে পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশে করোনায় মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরার পাশাপাশি জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের দিকেও আলোকপাত করেন মন্ত্রী। এ বিষেয় পার্লামেন্টে তিনি বলেন, ব‘র্তমানে দেশের ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রৌঢ় ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকার আওতায় আনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে।’
তিনি জানান, ‘সিঙ্গাপুরের ৬০ থেকে ৬৯ বয়সীদের ৯৬ শতাংশ, ৭০ বছলের ঊর্ধ্ববয়সীদের ৯৫ শতাংশ এবং ১২ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের ৯৫ শতাংশ যে কোনো একটি করোনা টিকার ২ ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।
এছাড়া, দেশের মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ টিকার বুস্টার বা তৃতীয় ডোজ নিয়েছেন বলেও সোমবার পার্লামেন্টে উল্লেখ করেছেন অং ইয়ে কুন।
সূত্র: পিটিআই
এসএমডব্লিউ