ছবি: এনডিটিভি

ভারতে শুক্রবার করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৮৬ জন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দৈনিক সংক্রমণের হিসেবে গত ৭ মাসে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ভারতে ঘটেছে এই দিন।

এর আগে ২০২১ সালের ৭ জুন লক্ষাধিক দৈনিক সংক্রমণ রেকর্ড করেছিল দেশটি। ওই দিন দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ৬৩৬ জন।

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রন প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো ভারতেও প্রতিদিন হু হু করে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগের দিন বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার আক্রান্ত রোগীর হার ছিল ২১ শতাংশ বেশি।

দেশটিতে প্রতিদিন যতসংখ্যক মানুষ টেস্ট করাচ্ছেন, তাদের ৯ দশমিক ২৮ শতাংশই শনাক্ত হচ্ছেন করোনা পজিটিভ হিসেবে। সাপ্তাহিক হিসেবে এই হার বর্তমানে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

একক রাজ্য হিসেবে শুক্রবার সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে-৪০ হাজার ৯২৫ জন। তারমধ্যে রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইয়ে এই দিন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৯৭১ জন।

এছাড়া শুক্রবার ৬৪ জন ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এই নিয়ে দেশটিতে বর্তমানে ওমিক্রনে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৭ জনে।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন সম্পর্কে তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তার ৮ দিনের মাথায়, ২ ডিসেম্বর ভারতে প্রথম এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

তারপর অকল্পনীয় দ্রুতগতিতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই ভাইরাসটি। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির ২৮ টি রাজ্য ও ৯ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ২৭ টিতেই মিলেছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী।

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ওমিক্রন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে-৮৭৬ জন। তারপরেই এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে রাজধানী নয়াদিল্লি-৫১৩ জন।

এছাড়া, ভারতে শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৮৫ জন। একক রাজ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু এই দিন ঘটেছে কেরালায়- ১৮৯ জন। এছাড়া এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৮ হাজার ২৫১ জন।

ভারতের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি, কেরালায়। তার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৭ হাজার ৬৬০ জন এবং এ রোগে সেখানে ‍মৃত্যু হয়েছে মোট ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জনের।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ