ছবি: এনবিসি

চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে কোনো ইতিহাস নেই; চিকিৎসা বিষয়ক কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষাও নেননি; কিন্তু এসব সত্বেও ছাত্রকে করোনা টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মার্কিন স্কুলশিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

এবং এই অভিযোগের পক্ষে প্রমাণ পাওয়ায় রুশো নামের ৫৪ বছর বয়সী ওই স্কুলশিক্ষিকাকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ঘটেছে এই ঘটনা। ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্রকে টিকার দেওয়ার দৃশ্য ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

নিউইয়র্ক পুলিশের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন বছর শুরুর আগমুহূর্তে টিকা দেওয়ার ঘটনাটি ঘটিয়েছেন লরা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে লরার চার বছরের জেল হতে পারে। আগামী ২১ জানুয়ারি মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

পুলিশ যদিও জানিয়েছে, টিকা দেওয়ার আগে ওই ছাত্রের অভিভাবকদের মতামত নেননি লরা। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ছাত্র নাকি টিকা নিতে চেয়েছিল। তবে ভুলভাবে টিকা দেওয়ার ফল ভয়াবহ হতে পারে।

টিকা দেওয়ার আগে সেটি নকল কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ কি না, তা যাচাই করে নেন চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকা দেওয়ার আগে বাবা-মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। খোঁজ নেওয়া হয় তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে। পাশাপাশি টিকা দেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নজরদারি করা হয়।

এদিকে ছাত্রকে টিকা দেওয়ার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে ওই শিক্ষিকাকে ছাত্রের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘আশা করি তুমি সুস্থ হয়ে যাবে। এই যে বাড়িতে টিকা দেওয়া হচ্ছে।’

বায়োলজির শিক্ষিকা লরা রুসো কীভাবে টিকা হাতে পেলেন, আর সেটি কোন কোম্পানির তা পরিষ্কার না বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য শুধু ফাইজারের করোনা টিকার অনুমোদন রয়েছে। এ বিষয়ে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির পুলিশ কমিশনার প্যাট্রিক রাইডার জানান, লরা কীভাবে টিকা পেলেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এসএমডব্লিউ