ছবি: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস

যারা করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন, তাদের দেহে এই রোগটির প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির পরিমাণ ৫গুণ বেশি থাকে। ইসরায়েলে চলমান এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সেখানকার প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।

মঙ্গলবার তেল আবিবে ইসরায়েলের বৃহত্তম হাসপাতাল শেবা মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদকিদের প্রশ্নের উত্তরে বেনেত বলেন, ‘সাম্প্রতিক এক গবেষণায় আমাদের বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন, করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির পরিমাণ ৫ গুণ পর্যন্ত বাড়ায়। ডোজ নেওয়ার একসপ্তাহের মধ্যেই অ্যান্টিবডি তৈরি হওয়া শুরু হয় মানবদেহে।’

‘নিঃসন্দেহে এটি একটি ভাল খবর। কারণ এর অর্থ হলো- যারা চতুর্থ ডোজ নিচ্ছেন, কোনো কারণে তারা যদি করোনায় আক্রান্ত হন, সেক্ষেত্রে এই রোগে গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি তাদের নেই।’

করোনা টিকার কার্যকারিতা নিয়ে বিশ্বের যেসব দেশে গবেষণা চলছে সেসবের মধ্যে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে আছে ইসরায়েল। জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতেও সফল মধ্যপ্রাচ্যের এই স্বশাসিত অঞ্চলটি। সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে ইতোমধ্যে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া শেষ করেছে ইসরায়েলের সরকার; গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৬০ ও তার অধিক বয়সী নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে টিকার চতুর্থ ডোজ।

এদিকে করোনার নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে কয়েকটি দেশে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমনের রেকর্ড হয়েছে।

২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছিল ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১২৮ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসটি।

২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ লাখ ২৩ হাজার ২৮৯ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৮ হাজার ২৪৭ জনের।

গত বছর থেকে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ইসরায়েল। কর্মসূচির সাফল্যের বিচারে ইতোমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের এই ইহুদিশাসিত অঞ্চলটি।

ইসরায়েলের মোট জনসংখ্যা ৯৪ লাখ। তাদের মধ্যে ৪৩ লাখই করোনার টিকার তিন ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এসএমডব্লিউ