অস্ট্রেলিয়াতে ১৩ মাস বয়সী একটি শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। শিশুটির বাবা-মা জানিয়েছেন তাদের সন্তানের স্বাস্থ্যগত অন্য কোনো জটিলতা ছিল না এবং মৃত্যুর আগে তারা জানতেনও না যে শিশুটি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিল। 

ড্যাকোটা নেনকে নামের ১৩ মাস বয়সী শিশুটির জমজ বোনও রয়েছে; একসাথে তারা কেবল হাঁটতে শিখেছিল।  

ড্যাকোটার বাবা রিয়ান নেনকে (২৯) ও মামা কারলি কনরির (২৭) কোনো ধারণাও ছিল না যে তাদের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত। ২৭ ডিসেম্বর রাতে তারা তাদের মেয়েকে অন্য দিনগুলোর মতো স্বাভাবিকভাবেই ঘুমাতে পাঠান।  

রিয়ান বলেন, ওইদিনকে বাচ্চাটার গা-টা একটু গরম গরম লাগছিল। এছাড়া অস্বাভাবিক অন্য কোনো কিছু ছিল না।   

তিনি বলেন, ওইদিন তাকে দুবার প্যারাসিটামল ওষুধ দেওয়া হয়েছে, তারপর সে তার বোনের সাথে বিকেলে খেলেছে আর রাতে স্বাভাবিকভাবে ঘুমাতে গেছে। 

পরের দিন সকালে ড্যাকোটা আর নেই। আর তারপর চিকিৎসকরা জানালেন তাদের মেয়ের করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। 

ড্যাকোটার স্বাস্থ্যগত অন্য কোনো সমস্যা ছিল না। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে এখনও কিছু বলতে পারেননি চিকিৎসকরা।  

শুধু ড্যাকোটা নয়, তার মৃত্যুর পর পরীক্ষা করে দেখা যায় তাদের পরিবারের সবারই করোনো পজিটিভ। এরা সবাই করোনার টিকাও নিয়েছিলেন। 

মঙ্গলবার সাউথ অস্ট্রেলিয়াতে ৩ হাজার ২৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার আগের দিন সোমবার হয়েছিল ২ হাজার ৫৫২ জনের। আক্রান্তদের মধ্যে ১০২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে ১২ জন আছেন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে, একজন আছেন ভেন্টিলেটরে।  

ড্যাকোটার মৃত্যুর দুদিন পর সাউথ অস্ট্রেলিয়ান প্রিমিয়ার স্টিভেন মার্শাল ঘোষণা দেন, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দু বছরের কম বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

ড্যাকোটার আগে অস্ট্রেলিয়াতে করোনায় মারা যাওয়া সবচেয়ে কম বয়সী শিশুর বয়স ছিল ১০ বছর। গেল নভেম্বরে মৃত্যু হয়েছিল তার।  

সূত্র : ডেইলি মেইল।  

এনএফ