বর্ষবরণ করতে একটা-দুটো নয়, হিমশীতল পানিতে টানা ৪৫ মিনিট ধরে ২০২২টি ডুব দিলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা সদানন্দ দত্ত। নতুন বছরের প্রথম দিন এমনিতেই প্রচণ্ড শীত পড়েছে বাঁকুড়ায়। ঠিক এমন সময় অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে সকলকে চমকে দিলেন বিষ্ণুপুরের সদানন্দ। 

শনিবার নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বিষ্ণুপুরের লালবাঁধের ঠান্ডা পানিতে পরপর ২০২২টি ডুব দিয়েছেন তিনি। এমনটাই দাবি সদানন্দের। 

সদানন্দ জানিয়েছেন, বছর পাঁচেক আগে তার মাথায় আসে জলে ডুব দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করার। কিন্তু কত সংখ্যক ডুব দিলে তা সম্ভব, সেটি জানা নেই সদানন্দর। তিনি স্থির করেন, বছরের সংখ্যার ধরেই ডুব দেবেন। সেই থেকে প্রতি বছর ডুব দিয়ে আসছেন তিনি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। শনিবার ২০২২ সালের প্রথম দিনে পরপর ২০২২টি ডুব দেন সদানন্দ। সদানন্দের এই অভিনব কায়দায় বর্ষবরণ উপভোগ করলেন বিষ্ণুপুরের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকরাও।

সদানন্দ বলেন, ‘ আমি জানি না কত সংখ্যক ডুব দিলে বিশ্বরেকর্ড করা যায়। জানি না সেই বিশ্ব রেকর্ডের তকমা পেতে গেলে কীভাবে আবেদন করতে হয়। তবে আমি যত দিন বাঁচব, তত দিন আমি এভাবেই বর্ষবরণ করে যাব। বিষ্ণুপুর শহরের মানুষ এবং পর্যটকরা এটা দেখতে প্রত্যেক বছর আসেন। আমাকে উৎসাহ দেন। এটাই আমার প্রেরণা।’

বিষ্ণুপুরের বাহাদুরগঞ্জের বাসিন্দা সদানন্দের সঙ্গে লালবাঁধের সম্পর্ক সেই ছোটবেলা থেকে। সদানন্দর সাঁতারে দক্ষতা দেখে তাকে বিষ্ণুপুর পৌরসভা নিজস্ব সুইমিং পুলে অস্থায়ী প্রশিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বছর দেড়েক আগে সুইমিং পুল বন্ধ হয়ে যায়। তার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়েন সদানন্দ। কাজ হারালেও লালবাঁধের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়নি তার। হাড় কাঁপানো শীত বা প্রখর গ্রীষ্মে এখনও নিয়মিত লালবাঁধে হাজির হয়ে সাঁতারের নানা কৌশল তিনি অনুশীলন করেন। 

সূত্র : আনন্দবাজার

এসকেডি