ছবি: সিএনবিসি

প্রতিবেশী দেশ যুক্তরাজ্যের পর এবার করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সংক্রমণ দেখল ফ্রান্সও। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার ২০০ জন।

মহামারি শুরু হওয়ার পর গত দুই বছরে এত বেশি দৈনিক সংক্রমণ ঘটেনি ফ্রান্সে। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া শুভেচ্ছাবার্তায় দেশবাসীকে সতর্ক থাকা ও করোনাবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘মনে হয়, আমরা সবাই এটি বুঝতে পারছি যে, সামনের অনাগত সপ্তাহগুলো আমাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠবে।’

করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের দাপটে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইউরোপে লাগামহীনভাবে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

তবে ফ্রান্সে এই হার অনেক বেশি। গত তিন দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়াচ্ছে দুই লাখের কোঠা। এর ফলে, নিকট ভবিষ্যতে ফ্রান্স ওমিক্রনের উপকেন্দ্র বা এপিসেন্টার হয়ে উঠবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউরোপের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী- ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও গ্রিস। ইউরোপের তিনটি দেশে বর্তমানে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এই তিনটি দেশেই গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ছাড়িয়ে যাচ্ছে লাখের ঘর। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৩ জন এবং গ্রিসে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন ১ লাখ ৬ হাজার ১২২ জন।

সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে জনগণকে টিকা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাক্রোঁ। তবে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত নতুন কোনো বিধিনিষেধ আরোপের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।

নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায় এ সম্পর্কে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘মহমারির প্রথম দিন থেকে আমরা যেসব সতর্কতামূলক নীতি মেনে চলেছি, আপাতত সেগুলোই চলতে থাকবে। নতুন কোনো বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে না।’

এসএমডব্লিউ