ভারতে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু
ভারতে ওমিক্রনে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৮ তারিখ তিনি দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনের একটি হাসপাতালে মারা যান। পরে জানা যায়, ভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন তিনি।
৫২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি সম্প্রতি নাইজেরিয়া থেকে ভারতে ফিরেছিলেন। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। অন্যদিকে বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পুনে শহরের বাইরে একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন নাইজেরিয়াফেরত ওই ব্যক্তি। পরে গত ২৮ ডিসেম্বর হাসপাতালে মারা যান তিনি। কিন্তু সেই সময় তার ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এনআইভি রিপোর্ট জানা যায়, করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। যার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। এছাড়া ডায়াবেটিসের মতো অসুস্থতাতেও তিনি ভুগছিলেন।
সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। আবার ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল। পরিসংখ্যান বলছে, বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার রাজ্যটিতে সংক্রমণ বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।
মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যের পরিস্থিতিও ক্রমশ জটিল হচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ইতোমধ্যেই উড়িষ্যায় ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পশ্চিমবঙ্গসহ ৮টি রাজ্যকে নতুন করে সতর্ক করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে শুক্রবার ভারতে নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে ২৭ শতাংশ। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৬৪ জন। যা বৃহস্পতিবারের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া শুক্রবার দেশটিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২২০ জনের।
অন্যদিকে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৭০ জন। দেশটিতে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন রোগীর সংখ্যা এখন মহারাষ্ট্রে, ৪৫০ জন। এছাড়া দ্বিতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৩২০ জন। তৃতীয় স্থানে থাকা কেরালায় ১০৯ জন এবং গুজরাটে ৯৭ জন।
টিএম