করোনার বর্তমান ‘বিধ্বংসী চিত্র’ গত বছরের মতো নয়
করোনাভাইরাসের নতুন শনাক্ত হওয়া ধরন ওমিক্রনের বিধ্বংসী ক্ষমতা মূল ভাইরাস তো বটেই, তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনের থেকেও কম। এ কারণে গত বছর ডিসেম্বরে করোনাজনিত কারণে বিশ্বজুড়ে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা গেছে, সে তুলনায় চলতি বছরে এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে করোনা পরিস্থিতি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ও রোগতত্ত্ববিদ জন বেল এমনটাই মনে করেন। বিবিসি রেডিও ফোরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেল বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন যে পরিমাণ মানুষ এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই তুলনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক কম; এবং হাসপাতালে যারা ভর্তি হচ্ছেন, তারাও অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।’
বিজ্ঞাপন
‘গত বছর আমরা যেসব ভয়াবহ বিপর্যয় দেখেছি, যেমন- হাসপাতালগুলোতে রোগী উপচে পড়ছে কিংবা বিনা চিকিৎসায় অক্সিজেনের অভাবে ধুঁকে ধুঁকে করোনা রোগীরা মারা যাচ্ছে… আমার মনে হয়- সেসব এখন ইতিহাস হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে করোনাজনিত কারণে এমন বিপর্যয় আসার সম্ভাবনা খুবই কম।’
চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর প্রথম বিশ্ববাসীকে করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর থেকে এ পর্যন্ত ১৩০ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনটি। কেবল ইউরোপেই প্রতিদিন ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ।
তবে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, সেই হিসেবে এখনও এই ধরনটিতে আক্রান্তদের মৃত্যুহার বেশ কম। আন্তর্জাতিক জীবাণুবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরাও বলেছেন, এই ভাইরাসটি করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের তুলনায় ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক হলেও এটির বিধ্বংসী ক্ষমতা মূল করোনাভাইরাস ও তার অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর চেয়ে নিম্ন।
তবে তারপরও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশে দেশে জারি হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্প্রতি দেশের নাগরিকদের নববর্ষ উপযাপনে বাইরে না গিয়ে বাড়িতেই করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এসএমডব্লিউ