‘ডলি কি ডোলি’ সিনেমায় সোনাম কাপূর যেমন একাধিক পাত্রদের ঠকিয়ে বিয়ের ঠিক আগে বা পরে সব সম্পত্তি নিয়ে গায়েব হয়ে যেতেন, তেমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের কাটনিতে।

রাত পোহালেই শুরু হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা, আয়োজনও তুঙ্গে। উৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় গোটা গ্রাম। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ করে হইহই কাণ্ড। বিয়ের আগের দিনই লাপাত্তা হয়ে গেলেন কনে, পাত্রপক্ষের মাথায় হাত। বউ পালালে না হয় বউ পাওয়া যাবে, কিন্তু টাকা?

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাত্রী এবং তার বাড়ির লোকজন বিভিন্ন অজুহাতে বেশ কয়েক দফায় ছেলের বাড়ি থেকে ২ লাখ টাকা আদায় করেছেন।

পাত্রের মা ৭৬ বছর বয়সী জগদম্বা দীক্ষিত সম্প্রতি কেমোর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন নকল পাত্রী এবং তার বাড়ির সদস্যদের নামে। তিনি জানিয়েছেন, তার দুই ছেলে বসন্ত লাল দীক্ষিত ও রাজেশ দীক্ষিত। তারা দুই জনই অবিবাহিত। তাদের জন্য দুই বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে আসেন অরুণ কুমার তিওয়ারি। সতনার বাসিন্দা ববিতা তিওয়ারির দুই মেয়ে সাধনা এবং শিবানি তিওয়ারির জন্য সম্বন্ধ আনেন।

জগদম্বার মেয়ে দুটিকেই পছন্দ হয় এবং বিয়ে পাকা করেন তিনি। সম্বন্ধ পাকা হওয়ার পর মেয়ের বাড়ি সদস্যদের ছেলের বাড়ি আসতে বলা হয়। সেখানে নকল মেয়ের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে আসেন সাজানো মামা ও কাকা।

মেয়ের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয় বলে সেই সাজানো কাকা ও মামা প্রথম দফায় ছেলের বাড়ির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা এবং পরবর্তী দফায় ৫০ হাজার টাকা নেন। এখানেই শেষ নয়, নানারকম অজুহাত দেখিয়ে নেন আরও ১ লাখ টাকা।

বিয়ের ঠিক এক দিন আগে ববিতা ছেলের বাড়িতে ফোন করে জানায় যে এক নিকট আত্মীয়ের মারা যাওয়ায় তাদের এখনই বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপর ছেলের বাড়ি থেকে যখন সতনায় মেয়ের বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে এ রকম কোনো পরিবারে অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পুরোটাই ছিল নকল।

এমএইচএস