ছবি: রয়টার্স

অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক পল জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করার পক্ষে যে রায় দিয়েছিলেন ব্রিটেনের হাইকোর্ট, তার বিরুদ্ধে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন অ্যাসাঞ্জ।

গতকাল বৃহস্পতিবার এই আবেদন তিনি করেন বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ ডিসেম্বর অ্যাসাঞ্জকে সেই দেশে স্থানান্তরের পক্ষে রায় দেন ব্রিটেনের হাইাকোর্টের বিচারক টিমোথি হলরোয়েড। রায়ের আদেশে তিনি বলেছিলেন, অ্যাসাঞ্জের নিরাপত্তার বিষয়ে ওয়াশিংটনের তরফ থেকে যেসব আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তাতে তিনি সন্তুষ্ট।

ব্রিটেনের হাইকোর্টে করা আবেদনে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অ্যাসাঞ্জকে কলরাডোর তথাকথিত উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত (হাই সিকিউরিটি) কারাগারে পাঠানো হবে না।

অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ৫০ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর বিপুল পরিমাণ গোপন নথি ও কূটনৈতিক বার্তা ফাঁস করে অনেকের জীবন বিপন্ন করাসহ ১৮টি অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে কয়েক দশক কারাগারে কাটাতে হতে পারে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা। গত আড়াই বছরের বেশি সময় ধরে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে আছেন তিনি।

এদিকে, অ্যাসাঞ্জের বাগদত্তা স্টেলা মরিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সম্প্রতি অ্যাসাঞ্জের শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়েছে। চলিত মাসে অ্যাসাঞ্জের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এতে তার ডান চোখের পাতায় সমস্যার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তির সমস্যা এবং স্নায়বিক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্টেলা।

এ সম্পর্কে বিবৃতিতে স্টেলা আরও বলেন, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের খবর দিয়ে স্টেলা মরিস বলেছিলেন, সমস্যাটি জরুরিভাবে সমাধান করা প্রয়োজন। চিড়িয়াখানায় আটকে থাকা প্রাণীদের মতো তাঁর অবস্থা। জুলিয়ানের সঙ্গে এটাই হচ্ছে। এটি তার জন্য মানসিক সমস্যা তৈরি করছে।

যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, যে কোনো আপিলের ক্ষেত্রে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায়ই চূড়ান্ত। তাই সুপ্রিম কোর্ট অ্যাসাঞ্জকে হস্তান্তরে সায় দিলে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে, যদিও এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের সরকারের সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।

এসএমডব্লিউ