ছবি: আলজাজিরা

কয়েক মাস নিম্নমুখী থাকার পর মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয় দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ওমান ও বাহরাইনে ফের ঊর্ধ্বমূখী হয়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে রীতিমতো উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যায়। গত ২ ডিসেম্বর যেখানে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৮, সেখানে বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা পৌঁছেছে ১ হাজার ২ জনে।

আমিরাতে এখন পর্যটন মৌসুম চলছে। বাইরের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মানুষ আসছেন এই দেশটিতে। এছাড়া সম্প্রতি দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র দুবাইয়ে আয়োজন করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। এসব কারণেই সংক্রমণের এই উল্লম্ফন ঘটেছে বলে মনে করছেন দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে জনবহুল দেশ সৌদি আরবেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা, তবে তা আমিরাতের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের শুরু পর্যন্ত প্রতিদিন সৌদিতে দৈনিক নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা থাকত ৫০ কিংবা তার আশেপাশে।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে বাড়তে শুরু করে দৈনিক আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এবং বৃহস্পতিবার সৌদিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫২ জন।

সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে দেশবাসীকে জরুরি প্রয়োজন ব্যাতীত বিদেশ ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে।

কুয়েতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৩ জন। চলতি বছর আগস্টের পর বুধবার একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক আক্রান্ত রোগী দেখল কুয়েত।

এছাড়া ওমান, কাতার ও বাহরাইনেও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে এই হার আমিরাত, সৌদি বা কুয়েতের চেয়ে কম।

উপসাগরীয় অঞ্চলের ছয় দেশেই শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী। তবে দৈনিক সংক্রমণে এখন পর্যন্ত এই ধরনটি প্রাধান্য বিস্তার করতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

এসএমডব্লিউ