চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতে চীন ভয় পাবে না এবং উভয়পক্ষের জন্য উপকারী হলে পারস্পরিক সহযোগিতাকে স্বাগত জানাবে বেইজিং। চিরবৈরী দুই বিশ্ব শক্তির সম্পর্কের ক্রমবর্ধমান চরম অবনতির মাঝে সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই মন্তব্য করেছেন। 

দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়াং ইর মন্তব্যে বলা হয়েছে, মার্কিন ‘কৌশলগত ভুল সিদ্ধান্তে’র কারণে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‌‘যদি যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সংঘাত হয়, তাহলে চীন এতে ভয় পাবে না এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে। ওয়াং ই বলেছেন, ‘প্রতিযোগিতায় কোনো ক্ষতি নেই। তবে এই প্রতিযোগিতা হতে হবে ইতিবাচক।’

করোনাভাইরাস মহামারির উৎপত্তি, বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং তাইওয়ানের ওপর বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিভেদের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে পৌঁছেছে।

গত মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে টেলিফোনে প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সময় তিনি দেশটিতে সংখ্যালঘু ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমনপীড়ন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ শি জিনপিংকে জানিয়ে দেন।

টেলিফোনে আলাপকালে চীনের প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানে কোনো ধরনের উসকানি দেওয়া হলে বেইজিং তার জবাব দেবে বলে বাইডেনকে সতর্ক করে দেন।

জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে রয়েছে। এই অঞ্চলের জাতিগত উইঘুর মুসলিমদের সরকারি বন্দি শিবিরে আটকে রেখে নিপীড়ন, জোরপূর্বক শ্রমে বেইজিং নিযুক্ত করছে বলে বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরেছে।

উইঘুর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অতীতে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে একটি আইন পাস হয়েছে। এতে উইঘুর মুসলিমদের বাধ্যতামূলক শ্রমে নিযুক্ত করায় চীনের জিনজিয়াং প্রদেশ থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

জিনজিয়াংয়ে উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ বরাবরের মতো অস্বীকার করছে চীন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস