ব্রিটেনে ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজারের বেশি ওমিক্রন রোগী শনাক্ত
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন করে মহামারির বিভিন্ন বিধি-নিষেধ ফিরিয়ে আনা করোনাভাইরাসের অতি-সংক্রামক ধরন ওমিক্রনে যুক্তরাজ্যে রেকর্ড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভ্যারিয়েন্টে আরও ১২ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, করোনাভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে রোববার আরও ১২ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা দৈনিক করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্যে সংক্রমণের এই চিত্র পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ওমিক্রনের অতিরিক্ত ১২ হাজার ১৩৩ জনের সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে ব্রিটেনে এই ভ্যারিয়েন্টে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার ৩৭ হাজার ১০১ জনে পৌঁছেছে।
আগামী বড়দিনের আগে নতুন করে করোনা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে কি-না প্রশ্নের জবাবে ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, মহামারিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে না—এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। ব্রিটিশ এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রীরা বৈজ্ঞানিক তথ্য যাচাই-বাছাই এবং নতুন করে বিধি-নিষেধ ফেরানোর আগে সম্ভাব্য কারণ বিবেচনা করছেন।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, করোনাভাইরাসে নতুন ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব এবং পারিবারিক অনুষ্ঠানে বিধি-নিষেধ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
এদিকে, ব্রিটেনে ওমিক্রনের উল্লম্ফনের কারণে রোববার রাত থেকে ব্রিটিশ পর্যটকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে জার্মানি। বড়দিনের আগে ওমিক্রনের ব্যাপক বিস্তারের আশঙ্কায় কঠোর লকডাউন জারি করছে নেদারল্যান্ডস। আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত নতুন এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে সেখানকার স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার চলাকালীন সব অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট, বার, জনসমাগমপূর্ণ স্থান বন্ধ থাকবে। একই সময়ে পারিবারিক অনুষ্ঠানে দু’জনের বেশি অতিথির সমাগম করা যাবে না নেদারল্যান্ডসে।
বিবিসি বলছে, বড়দিনের উৎসব ঘিরে প্রত্যেক বছরের এই সময়ে রাজধানী আমস্টারডামে ব্যাপক জনসমাগম দেখা গেলেও বর্তমানে সেখানে ভিন্ন চিত্র বিরাজ করছে। রাজধানীর রাস্তাঘাট প্রায় জনমানবশূন্য এবং দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ওমিক্রনের আধিপত্যশীল হয়ে ওঠার আতঙ্কে স্কটল্যান্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা কঠোর করোনা বিধি-নিষেধ আরোপের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা বলেছেন, নতুন বছরের শুরুর দিকে স্কটল্যান্ড করোনা বিধি আরও কঠোর করতে পারে। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা সার্জন করোনার প্রভাবশালী প্রজাতি ওমিক্রন স্কটল্যান্ডে ‘সুনামির’ মতো আঘাত হানতে শুরু করছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এসএস