ইউক্রেনের রুশ বিপদে সেনা পাঠাবে না যুক্তরাজ্য
রাশিয়া প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা করলে যুক্তরাজ্য বা দেশটির মিত্ররা সেনা পাঠাবে না। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস একথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে রুশ সেনাবাহিনী হামলা করলে দেশটিকে রক্ষায় ব্রিটেন বা মিত্র দেশগুলোর সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা চলছে। বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটি যেকোনো সময় প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে পশ্চিমারা। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে কিয়েভকে হতাশ করবে।
স্পেকটেটর’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেন, ‘ইউক্রেন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য নয়। তাই রাশিয়াকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য ইউক্রেনে মিত্র দেশগুলোর সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা খুবই কম।’
তিনি আরও বলেন, এ কারণেই প্রেসিডেন্ট পুতিনকে এই কাজ (ইউক্রেনে হামলা) না করতে কূটনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এছাড়া কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকিই রাশিয়াকে প্রতিরোধের সম্ভাব্য প্রধান কৌশল বলেও মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
অবশ্য ইউক্রেনে সেনা না পাঠলেও দেশটির সক্ষমতা বাড়াতে অন্য উপায়ে যুক্তরাজ্য সহায়তা করতে পারে বলেও জানিয়েছেন বেন ওয়ালেস। অবশ্য ওয়ালেস আগে জানিয়েছিলেন যে, (রাশিয়ার বিরুদ্ধে) ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে যুক্তরাজ্য। একইসঙ্গে তাদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।
ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। দেশটির সীমান্তে রুশ বাহিনী সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে বলে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অভিযোগ করে আসছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এমনকি গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও দাবি করেছেন রুশ সামরিক বাহিনী ২০২২ সালের শুরুর দিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইউক্রেন সীমান্তের চারটি স্থানে রাশিয়ার সেনা, ট্যাংক ও কামানের সমাবেশ ঘটানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। বর্তমানে সীমান্তে ৯৪ হাজার রুশ সেনা মোতায়েন রয়েছে, যা এক লাখ ৭৫ হাজারে উন্নীত হতে পারে।
রাশিয়া অবশ্য বরাবরই ইউক্রেনে হামলার ইচ্ছার কথা অস্বীকার করে এসেছে। একইসঙ্গে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জরুরি আলোচনাও করতে চায় মস্কো। এছাড়া পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর কর্মকাণ্ড সীমিত করতে গত শুক্রবার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া।
টিএম