স্পুটনিক লাইটের বুস্টার ডোজ ওমিক্রন ঠেকাতে বেশি কার্যকর
করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় সারা বিশ্ব। ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর তা জানতে সারা বিশ্বেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়ে বলা যাচ্ছে ওমিক্রন রোধে কোন টিকা সবচেয়ে বেশি কার্যকর।
তবে ওমিক্রন ঘিরে এমন উদ্বেগের মধ্যে আশার কথা জানালো রাশিয়া। তাদের দাবি, তৈরি একটি টিকা এবং তার বুস্টার টিকা স্পুটনিক লাইট ওমিক্রন রুখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।
বিজ্ঞাপন
ওমিক্রনের বিরুদ্ধে স্পুটনিক লাইটের কার্যকারিতা নিয়ে সম্প্রতি পরীক্ষা চালানো হয়। শুক্রবার তার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে স্পুটনিক ফাইভ সক্ষম। তার সঙ্গে স্পুটনিক লাইট বুস্টার টিকা নিলে তিন থেকে সাত গুণ বেশি কাজ হয়। যা প্রায় ৮০ শতাংশ।
রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়েছে স্পুটনিক লাইট। জনসন অ্যান্ড জনসনের তৈরি টিকা ছাড়া, একমাত্র স্পুটনিকের একটি টিকাই করোনার বিরুদ্ধে কার্যকরী বলে স্বীকৃত।
ওমিক্রনের উদ্বেগের মধ্যে বুস্টার টিকার দাবি দিন দিন জোরালো হচ্ছে।
রাশিয়া জানিয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে যারা স্পুটনিক ফাইভ নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে স্পুটনিক লাইট বুস্টার টিকা বেশি কার্যকর। বুস্টার টিকা নেওয়ার ২-৩ মাস পর প্রতিরোধ ক্ষমতা সর্বোচ্চে পৌঁছায়।
এদিকে বাংলাদেশে ট্রায়ালে করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম আগামী রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, প্রথমে সম্মুখসারির ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের এই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। তবে ইতোমধ্যে ৩০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এমএইচএস