করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বর্তমানে প্রচলিত করোনা টিকাগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে কিনা- তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি বিষয়ক সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে এ শঙ্কা জানিয়েছে ডব্লিউিএইচও।

সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা বা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠার পর মানবদেহে এই রোগটিকে ঠেকাতে যে প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়, তাকে ওমিক্রন ফাঁকি দিতে পারে কি না- আমরা এখনও নিশ্চিত নই। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আমাদের আরও তথ্য প্রয়োজন।’

‘তবে আমদের হাতে যেসব তথ্য রয়েছে, সেগুলো বলছে করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনটি মানুষের জন্য সার্বিকভাবে অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। এমনকি, বাজারে বর্তমানে প্রচলিত করোনা টিকাগুলো এই যদি এই ধরনটির সংক্রমণ ও বিস্তৃতি ঠেকাতে অকার্যকর হয়, তাহলেও খুব অবাক হওয়ার মত ঘটনা হবে না সেটি।’

জিআইএসএআইডি গ্লোবাল সায়েন্স ডাটাবেসের সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছর এপ্রিলে শনাক্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে প্রথমবারের মতো নিম্নমুখী ছিল করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টা।

গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য এক গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনটির ব্যাপারে বিশ্বকে জানানোর ৫ দিন আগে, নেদারল্যান্ডসে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন।

জাপানের বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার চেয়ে অন্তত ৪ গুণ বেশি।

যুক্তরাজ্যে প্রথম ওমক্রিনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২৭ নভেম্বর। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ১১ হাজার ৩৭২ জন।

গত ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানান, সক্রিয় এই করোনা রোগীদের অর্ধেকই ওমিক্রনে আক্রান্ত।

আক্রান্তদের মধ্যে ১০ জন ইতোমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে সম্প্রতি একজনের মৃত্যুও হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ