করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত ধরন আগামী ১ মাসের মধ্যে ইউরোপে প্রাধান্য বিস্তারকারী ধরন হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইউরোপের দেশগুলোর ঐক্য সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থার শীর্ষ নির্বাহী উরসুলা ভন ডার লেন এই শঙ্কা জানিয়েছেন।

বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে এ প্রসঙ্গে উরসুলা বলেন, ‘আপনারা যদি এই ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়ার গতি লক্ষ্য করেন, তাহলে দেখবেন- প্রতি দুই বা তিন দিনের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দ্বিগুণ বা তারও বেশি হারে বাড়ছে।’

‘আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে যে, সংক্রমণের এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী জানুয়ারির মাঝামাঝি ইউরোপে এই ধরনটিই প্রধান হয়ে উঠবে।’

গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববাসীকে প্রথম করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের তথ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশ্য এক গবেষণায় জানা গেছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় এই ধরনটির ব্যাপারে বিশ্বকে জানানোর ৫ দিন আগে, নেদারল্যান্ডসে এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছিল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ৬৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সার্স-কোভ-২ বা করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রন।

জাপানের বিজ্ঞানীরা সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার চেয়ে অন্তত ৪ গুণ বেশি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক সদস্য যুক্তরাজ্যে প্রথম ওমক্রিনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২৭ নভেম্বর। দেশটিতে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ১১ হাজার ৩৭২ জন।

গত ১৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ জানান, সক্রিয় এই করোনা রোগীদের অর্ধেকই ওমিক্রনে আক্রান্ত।

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ