ফাইজার আগেই দাবি করেছিল, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং মৃত্যুঝুঁকি কমাতে প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকর তাদের উদ্ভাবিত অ্যান্টিভাইরাল পিল প্যাক্সলোভিড।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও কার্যকারিতার কোনো হেরফের হয় না এই মুখে খাওয়ার ওষুধটির; অর্থাৎ, ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু কিংবা গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ঠেকাতেও একই রকম কার্যকর প্যাক্সলোভিড।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে ফাইজার কর্তৃপক্ষ। করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার রোগীর ওপর পরীক্ষামূলক ব্যবহারের মাধ্যমে এই তথ্য জানা গেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক এই ওষুধ কোম্পানি।

এদিকে, গবেষণার এই ফলাফলে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ফাইজারের কর্মকর্তারা। কোম্পানির শীর্ষ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাইকেল ডলস্টেন এক সাক্ষাৎকারে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এটি নিঃসন্দেহে একটি দুর্দান্ত ফলাফল।’

‘আমরা বরাবরই বলে আসছি, এই ওষুধটি কেবল করোনায় মৃত্যু বা হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকিই কমায় না, উপরন্তু, উপসর্গ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রোগীরা এই ওষুধ ব্যবহার করা শুরু করেন, সেক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে নাটকীয়ভাবে করোনার সংক্রমণ কমাতে সক্ষম প্যাক্সলোভিড।’

ওষুধ প্রস্তুতকারী মার্কিন কোম্পানি মের্কও মলনুপিরাভির নামে একটি অ্যান্টিভাইরাল পিল উদ্ভাবন করেছে। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বরাবর আবেদনও করেছে।

তবে সাম্প্রতিক একাধিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, এই ওষুধটি করোনায় গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুঝুঁকি মাত্র ৩০ শতাংশ কমাতে সক্ষম। তাছাড়া, সাম্প্রতিক গবেষণায় আরও জানা গেছে এই ওষুধটির মানুষের উর্বরতা বা জননেন্দ্রিয়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে।

তবে প্যাক্সলোভিডের এই সমস্যা নেই। এই ওষুধটি প্রোটিস ইনহিবিটরস শ্রেণীভুক্ত ওষুধ। এইচআইভি, হেপাটাইটিস সি ও অন্যান্য ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী রোগের ক্ষেত্রে এই শ্রেণীর ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

এসএমডব্লিউ