গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণের আগুনে প্রাণ গেল ৫০ জনের
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দেশ হাইতিতে গ্যাস ট্যাংকার বিস্ফোরণে আগুনে পুড়ে কমপক্ষে অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার সকালের দিকে দেশটির ক্যাপ-হাইতিয়ান শহরের এই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় চিকিৎসকরা।
ক্যাপ-হাইতিয়ানের ডেপুটি মেয়র প্যাট্রিক আলমোনোর বলেছেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ৫০ থেকে ৫৪ জনকে জীবন্ত পুড়ে মারা যেতে দেখেছি। তাদের শনাক্ত করা অসম্ভব।’
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, বিস্ফোরণে ওই এলাকার প্রায় ২০টি বাড়ি পুড়ে গেছে। তবে এসব বাড়িতে কতসংখ্যক মানুষ হতাহত হয়েছেন সে বিষয়ে আমরা এখনও বিস্তারিত জানতে পারিনি।
স্থানীয়রা বলেছেন, বিস্ফোরণের পর পার্শ্ববর্তী জাস্টিনিয়েন ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীতে ভরে গেছে। ওই হাসপাতালে আহত লোকজনকে স্থানান্তর করা হচ্ছে। হাসপাতালের একজন নার্স এএফপিকে বলেছেন, গুরুতর দগ্ধ হয়ে যাওয়া মানুষের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমি ভয় পাচ্ছি, আমরা তাদের সবাইকে বাঁচাতে পারবো না।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি বলেছেন, বিস্ফোরণে প্রায় ৪০ জন মারা গেছেন এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে জাতীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সেখানে ফিল্ড হাসপাতাল মোতায়েন করা হয়েছে। মেয়র প্যাট্রিক আলমোনোরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, একটি মোটরসাইকেল ট্যাক্সির সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্যাংকারটি উল্টে যায়।
এ ঘটনার পর পথচারী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ট্যাংকারের গ্যাস সংগ্রহ করার জন্য সড়কে আসেন। এ সময় ট্যাংকার বিস্ফোরণে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে যায়। আশপাশের বাড়িঘরেও দ্রুত আগুন ধরে যায়। যে কারণে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আলমোনোর।
হাইতিতে বর্তমানে তীব্র জ্বালানি সংকট শুরু হয়েছে। দেশটির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে অপরাধী গ্যাংদের কঠোর তৎপরতার কারণে এই সংকট আরও গুরুতর আকার ধারণ করেছে।
সব নাগরিকের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ কখনই উৎপাদন করতে পারেনি ক্যারিবীয় এই দ্বীপ দেশ। এমনকি রাজধানীর অভিজাত এলাকাতেও রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি হাইতি বৈদ্যুতিক ইউটিলিটি দিনে শুধুমাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
এসএস