পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর ভূখণ্ডটি কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিশ্বের কোনো দেশই কাবুলের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে চীনের দ্বারস্থ হয়েছে তালেবান। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আফগান বার্তাসংস্থা খ্যামা প্রেস।

আফগানিস্তানের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপমন্ত্রী এবং তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের বৈশ্বিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। আর তাই বিশ্বের দেশগুলোকে বিশেষ করে চীনকে এ ব্যাপারে আমাদের সহায়তা করতে হবে।

রোববার কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ একথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, চীন এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর একটি। এ কারণে দেশটির সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে পারলে তালেবানের জন্য সেটি হবে অনেক বড় অর্জন।

অন্যদিকে জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের বরাত দিয়ে আফগানিস্তানের উপ-মুখপাত্র বিলাল কারিমি জানিয়েছেন, তালেবান বিশ্বের কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না এবং একইভাবে বাইরের কাউকে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে দেবে না।

সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা আশা করি সকল বিনিয়োগকারী, বিশেষ করে চীনের বিনিয়োগকারীরা আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করবেন এবং আফগান সরকার তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’

রোববার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি নির্মাণ প্রকল্প উদ্বোধন করেছে চীন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আফগান নাগরিকরাই উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

কাবুলে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইয়ু এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি জানান, আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় চীন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং দেশটির শান্তি ও উন্নয়নই বেইজিংয়ের প্রধান আকাঙ্ক্ষা।

উল্লেখ্য, ২০ বছর পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখলে নেয় তালেবান। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখনও পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

টিএম