যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থাগুলোকে বাইরের বিভিন্ন দেশের জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধে জরুরি নির্দেশ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ক তারবার্তা পাঠিয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

বাইডেন প্রশাসনের তারবার্তাটি দেখেছে রয়টার্স। সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিশ্বজুড়ে দূষণমূক্ত জ্বালানি ব্যবহারের প্রচার, এ বিষয়ক উদ্ভাবনী প্রযুক্তি অগ্রসর করা, ক্লিন টেক প্রতিযোগিতা ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোঠায় নামিনে আনাকে উৎসাহিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

‘তবে বিরল কিছু ক্ষেত্রে, যেসব এলকায় জাতীয় নিরাপত্তা, ভূ-রাজনৈতিক কৌশল প্রভৃতি বিষয়যুক্ত ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প জ্বালানির ব্যাপক অভাব রয়েছে, সেসব স্থানে বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে।’

কিছুদিন আগে শেষ হওয়া কপ ২৬ সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যে চুক্তি করেছিল, তার প্রতি সম্মান জানিয়েই এই নীতি নেওয়া হয়েছে বলে ব্লুমবার্গকে নিশ্চিত করেছেন বাইডেন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা।

তবে বাইডেন প্রশাসনের এই পদক্ষেপ বিশ্বের জন্য কতখানি সুফল বয়ে আনবে- তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্বের পরিবেশবিদদের একাংশ।

পরিবেশবাদী আনন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রেন্ডস অব আর্থের জলবায়ু অর্থায়ন বিশেষজ্ঞ কেট ডি অ্যাঞ্জেলিস এ সম্পর্কে বলেন, ‘যে পলিসি যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে তাতে স্পষ্টতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে এবং এখানে বিরল ক্ষেত্র বলতে যেসব অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে, তার সংখ্যাও নেয়ায়েৎ কম নয়। সেসব এলাকা বা দেশে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বন্ধ করছে না।’

‘এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন নীতি বিশ্বজুড়ে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে কতখানি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে, সে বিষয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।’

এসএমডব্লিউ