ছবি: বিবিসি

আফগানিস্তানে জরুরিভিত্তিতে খাদ্য ও চিকিৎসা উপকরণ পাঠাতে ফ্রিজ অবস্থায় থাকা একটি আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ ছাড়ে সম্মতি দিয়েছে দাতাগোষ্ঠী। আপাতত ওই তহবিল থেকে ২৮ কোটি ডলার দেশটিতে পাঠানো হবে বলে বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছাড়কৃত এই অর্থ তালেবান সরকারকে দেওয়া হচ্ছে না। আফগানিস্তানে কর্মরত জাতিসংঘের দুই সংস্থা- ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) ও ইউনিসেফের ঠিকানায় পাঠানো হবে এই ডলার। ডব্লিউএফপিতে পাঠানো হবে ১৮ কোটি ডলার, বাকি ১০ কোটি ডলার পাঠানো হবে ইউনিসেফে।

আন্তর্জাতিক এই তহবিলের অর্থ আফগানিস্তানের। তবে চলতি বছর আগস্টে তালেবানগোষ্ঠী আসীন হওয়ার পর বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে দেশটির রিজার্ভ উত্তলনে স্থগিতাদেশ দেওয়াসহ আফগানিস্তান সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহায়তা তহবিলের অর্থও ফ্রিজ করে দেওয়া হয়।

এদিকে, তালেবান ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে দেশটিতে বিদেশী দাতাদের অর্থসহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ও প্রকট হয়ে উঠেছে সেখানে আর্থিক ও মানবিক সংকট। জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি তীব্র খাদ্য সংকটের ঝুঁকিতে আছে, অপুষ্টিতে ভুগছে লাখ লাখ শিশু।

গত বছর তীব্র খরার কারণে আফগানিস্তানে গম ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের উৎপাদন হয়েছে কম। ফলে খাদ্যদ্রব্যের দাম চলতি বছর এমনিতেই চড়া ছিল। তালেবান ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ায় এই সংকট তীব্র হয়ে উঠছে।

পশ্চিমা শক্তিগুলো তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপে ইতোমধ্যে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা আফগানিস্তানের বৈদেশিক রিজার্ভের ১ হাজার কোটি ডলার ফ্রিজ করা হয়েছে; দেশটিতে অর্থ সহায়তা দেওয়া স্থগিত করেছে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থা।

আফগানিস্তানকে বিশ্বের ‘নিকৃষ্টতম মানবিক দুর্যোগ কবলিত দেশ’ হিসেবে উল্লেখ করে ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, চলতি বছর শীতে আফগানিস্তানের অন্তত ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষকে জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রদানের প্রয়োজন পড়বে।

এসএমডব্লিউ