ফাইল ছবি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই দেশটির সরকারপন্থি বেসামরিক মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এর আগে গত নভেম্বরে দেশটির একটি সেনা চেকপোস্টে বন্দুকধারীদের হামলায় ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফ্রিকার এই দেশটিতে এ ধরনের হামলার ঘটনা খুবই সাধারণ।

রয়টার্স বলছে, গত বুধবার বুরকিনা ফাসোর প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রোচ কাবোরি। একইসঙ্গে ওই পদে দেশটির সেনাবাহিনীর শীর্ষ ব্যক্তিকেও বসান তিনি। বুরকিনা ফাসোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে রাস্তায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মধ্যেই রোচ কাবোরি এই সিদ্ধান্ত নেন এবং এর একদিনের মাথায় প্রাণঘাতী এই হামলার ঘটনা ঘটলো।

হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গ্রুপ এর দায় স্বীকার করেনি। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলীয় শহর তিতাউ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এই হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই দেশটির হোমল্যান্ড ডিফেন্স ভলান্টিয়ার্স নামক সরকারপন্থি একটি বেসামরিক মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য। জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই বাহিনী সরকারের কাছ থেকে অর্থ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা পেয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবিলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো। সশস্ত্র এসব গোষ্ঠীগুলোর বেশিরভাগই জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়দা এবং আইএস’র সঙ্গে সম্পৃক্ত।

এছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বুরকিনা ফাসো, নাইজার এবং মালির বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সম্পর্কিত জিহাদিদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল থেকে কয়েক মিলিয়ন সাধারণ মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন। এসব হামলা ও সহিংসতায় নিহত হয়েছেন হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ।

টিএম