করোনার রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনকে ঠেকাতে উন্নত দেশগুলোকে অতিরিক্ত টিকা মজুত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বৃহস্পতিবার জেনেভায় ডব্লিউএইচও সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংস্থার ভ্যাকসিন বিভাগের প্রধান কেট ও’ব্রায়েন।

পাশাপাশি, ‘করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রন ঠেকাতে সক্ষম’- বলে যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর এই কর্মকর্তা।

সংবাদ সম্মেলনে কেট ও ব্রায়েন বলেন, ‘সম্প্রতি বলা হচ্ছে, করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পারে এবং এই বিষয়টিতে আমরা উদ্বিগ্ন।’

‘আমাদের উদ্বেগের কারণ হলো, ধনী দেশগুলো নিজেদের জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যদি ফের টিকা মজুত করা শুরু করে তাহলে বিশ্বজুড়ে টিকার বণ্টন ও সরবরাহ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উন্নত দেশগুলোর টিকার মজুত আরও বাড়বে এবং দরিদ্র দেশগুলো এখনও যে কিছু পরিমাণ টিকা পাচ্ছে, তাতে টান পড়বে।’

বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) দাফতরিকভাবে বিশ্বের প্রথম করোনা টিকা উদ্ভাবন ও বাজারজাত করা মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক জানিয়েছে, তাদের টিকার তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা দিতে সক্ষম।

তবে কেট ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন, এখনই এই বিষয়ে এত নিশ্চিত হওয়ার মতো সময় আসেনি।

তিনি বলেন, ‘এটা সঠিক যে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ আপনাকে অধিক সুরক্ষা দেবে, কিন্তু কোনো কোম্পানির তৃতীয় ডোজের টিকা নিলেই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা পাওয়া যাবে- এখনও এটি নিশ্চিত হওয়ার সময় আসেনি। এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।’

সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর ভ্যাকসিন বিভাগের পরিচালক জানান, বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে এতদিন কোভ্যাক্সের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে নিয়মিতভাবে টিকা পাঠানো যায়নি। গত দুই মাস ধরে দরিদ্র দেশগুলোতে টিকার ডোজ পাঠানো কিছুটা নিয়মিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এবং আমরা এটি অব্যাহত রাখতে চাই এবং উন্নত দেশগুলোর কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে- তাদের টিকা মজুতের প্রবণতার কারণে যেন এই প্রবাহ বাধাগ্রস্ত না হয়।’

‘আমাদের মনে রাখতে হবে- যতক্ষন পর্যন্ত এই বিশ্ব মহামারিমুক্ত না হচ্ছে, ততক্ষন আমরা কেউই নিরাপদ নই।’

সূত্র: এএফপি

এসএমডব্লিউ