সাধারণত বিমানেই বিমানবালা দেখতে অভ্যস্ত মানুষ। তবে এবার ট্রেনেও দেখা যাবে বিমানের মতো রেলসেবিকা। ভারতে যাত্রীবাহী দুই ডজনের বেশি ট্রেনে বিমানের মতো রেলসেবিকা নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অতীতে ট্রেনেও রেলসেবিকা ছিল ভারতে। সেই পুরোনো পথেই ফিরছে ভারতের রেলওয়ে বিভাগ।

ভারতে অতীতে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু ট্রেনে রেলসেবিকা নিয়োগ দেওয়া হতো। এবার পাকাপাকিভাবে বিশেষ কিছু ট্রেনে রেলসেবিকা নিয়োগ হতে যাচ্ছে। তবে এমন ট্রেন বেছে নেওয়া হচ্ছে যেগুলো শুধু দিনের বেলা চলে। দিন ও রাত মিলিয়ে চলে এমন ট্রেনে এখনকার মতো পুরুষ রেলসেবকরাই থাকবেন।

আনন্দবাজার লিখেছে, এর আগে তেজশ এক্সপ্রেসে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এখন ঠিক হয়েছে শতাব্দী, গতিমান, তেজসের পাশাপাশি আরও যেসব প্রিমিয়াম ট্রেন রয়েছে সেসব ট্রেনে রেলসেবিকা নিয়োগ করা হবে। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম করপোরেশন (আইআরসিটিসি) যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে দিনের বেলা রেলসেবিকারা নিযুক্ত থাকবেন।

ট্রেনে ওঠার সময়ে যাত্রীদের স্বাগত জানানো থেকে শুরু করে খাবার পরিবেশন, অভিযোগ শোনার কাজ করবেন তারাই। যেসব ট্রেন রাতে চলে সেসবে অবশ্য এখন যে ব্যবস্থা রয়েছে সেটাই চালু থাকবে। এই কারণে প্রিমিয়াম ট্রেন হওয়া সত্ত্বেও দেশটির রাজধানী ও দূরন্ত এক্সপ্রেসে রেলসেবিকা নিয়োগ হবে না।

আইআরসিটিসির সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার বলছে, নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ভারতে মোট ২৫টি প্রিমিয়াম ট্রেন চালু আছে। সম্প্রতি বেসরকারি উদ্যোগে বন্দেভারত এক্সপ্রেস চালানোর পরিকল্পনাও করেছে দেশটির রেলওয়ে বিভাগ। এই সব ট্রেনেও রেলসেবিকা দেখা যাবে খুব শিগগিরই। 

সব ট্রেনেই রেলসেবিকাদের পোশাক হবে একই ধাঁচের। পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ রয়েছে এমন নারীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। কিন্তু পুরুষের পরিবর্তে কেন নারী নিয়োগের সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের জবাবে আইআরসিটিসির সূত্র বলেছে, শুধুই নতুন কিছু করা বা যাত্রীদের আকর্ষিত করাই লক্ষ্য নয় আইআরসিটিসির।

সাধারণভাবে যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে নারী কর্মীরা ভালো কাজ করেন বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও নারীকর্মী রাখলে যাত্রীদের অভিযোগও অনেক কম থাকে। এসব কারণ দেখে বিমানের মতো রেলসেবিকা নিয়োগের ভাবনা চলছে।

এসএস