হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত। তামিলনাড়ুর কুন্নুরের জঙ্গলে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিপিন রাওয়াতের অত্যাধুনিক রুশ কপ্টার এমআই-১৭ভি৫। অবতরণের ৫ মিনিট আগে দুর্ঘটনা ঘটে।

বিমান বা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এর আগেও প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব। যার মধ্যে রয়েছেন সঞ্জয় গান্ধী, মাধবরাও সিন্ধিয়া, ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডি, ও পি জিন্দল প্রমুখ।

১৯৮০ সালের ২৩ জুন গ্লাইডার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ভারতের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কনিষ্ঠ পুত্র সঞ্জয় গান্ধী। দিল্লির সফদরজং বিমানবন্দর থেকে ওড়ার পরই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।  

২০০১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কানপুরে জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে সেসনা এয়ারক্রাফ্ট দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়া।  

২০০৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বেল-৪৩০ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির।  অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে তার বেল-৪৩০ হেলিকপ্টারটি। দুর্ঘটনার ২৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় দেহ।

২০০২ সালের ৩ মার্চ অন্ধ্রপ্রদেশে চপার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাবেক লোকসভা স্পিকার ও তেলেগু দেশম নেতা জিএমসি বালাযোগীর। খারাপ আবহাওয়ার জেরে পুকুরকে জমি ভেবে অবতরণ করতে গিয়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

২০০৫ সালের ৩১ মার্চ উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের কাছে চপার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান হরিয়ানা প্রদেশের তৎকালীন বিদ্যুৎমন্ত্রী ওপি জিন্দল ও কৃষিমন্ত্রী সুরেন্দ্র সিং।   

২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খান্দু। ওড়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই দোরজি খান্দুর কপ্টারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। চীন সীমান্তের কাছে সেলা পাসে উদ্ধার হয় খান্দুর দেহ। জিনিউজ।

ওএফ