ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত চলছেই, মৃত বেড়ে ১৩
ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত চলছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৩ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ধেয়ে আসা ছাইয়ের কুণ্ডলি ও লাভায় দগ্ধ হয়ে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এছাড়া অগ্ন্যুৎপাতের পর আতঙ্কিত বহু মানুষ প্রাণ বাঁচাতে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। অগ্নুৎপাতের কারণে জাভা দ্বীপের আশপাশের এলাকার আকাশে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি ও ছাই উড়তে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রোববার ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সি (বিএনপিবি) জানিয়েছে, সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের পর আটকে পড়া ১০ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
বিএনপিবি’র কর্মকর্তা আবদুল মুহারি জানিয়েছেন, সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ জনে। এর মধ্যে দু’জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া অগ্ন্যুৎপাতে আহতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ জনে। তাদের মধ্যে দু’জন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন।
এছাড়া দুর্যোগপীড়িত ওই এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ৯০২ জন মানুষকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন এজেন্সির ওই কর্মকর্তা। এদিকে আহতদের মধ্যে ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আরও ৪১ জন অগ্ন্যুৎপাতের লাভায় দগ্ধ হয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে জাভা দ্বীপের সেমেরু আগ্নেয়গিরিতে অগ্নুৎপাত শুরু হয়। দেশটির জরুরি সেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, পূর্ব জাভা প্রদেশের আশপাশের গ্রামগুলোতে ধোঁয়া ও ছাইয়ের বিশাল উঁচু স্তুপ তৈরি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন।
দক্ষি-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জাভা দ্বীপের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত সেমেরু আগ্নেয়গিরি। এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৬০০ মিটার (১২ হাজার ফুট) উচুতে অবস্থিত।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতেও এই আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত হয়েছিল। তখন অবশ্য হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।
টিএম